Make a difference by posting your own unique contents

দূরবর্তী সংকেত

অনেক দুরে দেখা যায় বাতিঘর।

স্বল্প আলোয় আর কিছু দেখি না যে।

চোখের সামনে শুধু কি যেন

উলু পোকা ঝি ঝি পোকা যেন।

নীল আলো, বেগুনী আলোর নাচানাচি।

সামনের বাতিঘরটা খুব দুরে নাকি!

এত কাছে মনে হয় কেন,

যদি খুব দুরে থাকে।

দুরত্বের রহস্যটা বুঝি না এখনো।

অনেক গভীরে দেখা যায় গাছ।

স্বল্প আলোয় আর কিছু দেখি না যে।

চোখের সামনে শুধু কি যেন

উলু পোকা ঝি ঝি পোকা যেন।

বাতাস আছে কি নেই বুঝি না এখনো।

জলের নীচে গাছটা খুব দুরে নাকি!

এত কাছে মনে হয় কেন,

যদি খুব দুরে থাকে।

স্বপ্নের ভাঙা-গড়া চলে ঘুমের রাতে,

জলের গভীরে গাছ স্থির হয়ে থাকে।

শান্ত জল, নিথর গাছ;

শান্ত দৃষ্টিতে তা-ই দেখি।

বর্ণহীন স্ফটিক-স্বচ্ছ

কাঁচের চাইতেও স্বচ্ছ সেই জল।

স্বপ্নের ছায়ার গভীরে নড়ে না কখনো।

অনেক গভীরে দেখা যায় নদী।

তবুও মনে হয় যেন ছোয়া যাবে।

স্বল্প আলোয় কিছু দেখি না যে।

খাদের গভীরে শুধু কুয়াশা

অথবা, ধোয়াশা নাকি ওটা?

চোখের সামনে শুধু কি যেন।

বাতাস আছে কি নেই বুঝি না এখনো।

খাঁদের নীচে নদীটা খুব দুরে নাকি!

এত কাছে মনে হয় কেন,

যদি খুব দুরে থাকে।

স্বপ্নের ভাঙা-গড়া চলে ঘুমের রাতে,

খাদের গভীরে নদী স্থির হয়ে থাকে।

কুয়াশাময় শান্ত খাদ, কুয়াশাময় নিথর নদী।

শান্ত দৃষ্টিতে তা-ই দেখি।

শত ছিন্ন চাদরের মত

কুয়াশার গভীর আর অগভীর অন্দরে

নদীটিরে দেখেছি কি দেখিনি বুঝিনি কখনো।

তবুও মনে হয়, সে আছে;

যদিও অনেক গভীরে

তবুও মনে হয় খুব কাছে।

Share Now:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *