Make a difference by posting your own unique contents

আলো

অবশেষে, সে-ও হারিয়ে যায়;

যার কাছে ছিল তার বাঁচার উপায়।

ক্রস্ত হাতে ছুড়ে ফেলি শূন্য উদ্যানে

বারান্দার সারিবদ্ধ টব।

সব কিছু পেছনে যায়,

অথবা হারিয়ে যায়।

যে পথে চলে আসা

সে পথে যায় না ফেরা আর;

মাঝখানে তার,

কঠিণ দেয়াল আঁকা থাকে।

অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ জীবনে,

সময়ের রাশ টেনে ধরে

ভয়াবহ দূর্ঘটনার রাত।

হাজার বছর ধরে

থমকে থাকে ঝুলন্ত জুতা।

ভয়াবহ দূর্ঘটনার রাতে

সময়ও থমকে যায়।

চারিপাশে শিথীল অনুভূতি,

জাগ্রত শিথীল সময়ে।

কেটেছে মানুষের সমান্তরাল জীবন

গলিত কাঁচের ঘরে,

আলোর সীমানা পার হয়ে।

গ্রীষ্মের পাতা-ঝরা দিনে,

এসেছে সরলতা আর যৌবনের বিলুপ্তির কাল।

হাজার বছর ধরে বিতর্ক, মানুষের;

বিতর্ক ছাড়া সে জানে না কিছুই।

ধূসর অন্ধকারে ঝুলে থাকা মেঘের ছায়ায়

অস্বচ্ছ আলোর আধার।

মধ্যযুগীয় অন্ধকারে নিমগ্ন চারিদিকে

চোখ-ধাধানো আলো।

আর কর্ণবিদারী শব্দে বিপর্যস্ত সময়।

নির্বাপিত আলোর শিখায়

জেগে থাকে এতটুকু ক্ষয়িষ্ণু আলো।

মানুষের আশার প্রদীপ তাই,

দীপ-নেভা অন্ধকারে আমৃত্যু জ্বলে।

Share Now:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *