অধ্যায় এক
শৈশবের প্রথম দিককার সময়ের কথা কোন মানুষের-ই মনে থাকে না। সে সময়টা মানুষের জীবনের এমন একটা সময় যখন পৃথিবীতে নিজের অস্তিত্ব থাকলেও তা নিজের কাছে প্রতীয়মান হয় না। সেই সময়
শৈশবের প্রথম দিককার সময়ের কথা কোন মানুষের-ই মনে থাকে না। সে সময়টা মানুষের জীবনের এমন একটা সময় যখন পৃথিবীতে নিজের অস্তিত্ব থাকলেও তা নিজের কাছে প্রতীয়মান হয় না। সেই সময়
খুব ছোট বেলা থেকে আমার চরিত্রে একটা অদ্ভূত বৈশিষ্টের সূচনা হয়: আমার অন্তরে টাকা-পয়সা, জিনিসপত্র, আর অর্থ-সম্পদের কোনো লোভ ছিল না, সেই ছোটবেলা থেকেই। জ্ঞান হবার পর থেকে নানীকে আমি
একদল সাদা, বাদামী, আর কালো রঙ্গের হাঁস কোনো পুকুর, ডোবা, অথবা জলাশয়ের স্বচ্ছ অগভীর জলে সাতার কাঁটছে এ দৃশ্যটি দেখলে কেন জানি শৈশব অথবা কৈশোরের দিনগুলোর কথা মনে হয়। এই
আমার নানা-নানী তাদের মেয়ের বিয়ের পর থেকে জামাইয়ের বাড়ীতেই থাকতেন। তারা ছিলেন খুবই দরিদ্র। শুনেছি, আমার নানা শিক্ষকতা করতেন; শেষ বয়সে, সম্ভবত, হেড-মাস্টারের পদটি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন তিনি। জামাইয়ের
নানীকে দু’একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া কখনোই রাগ করতে দেখিনি। আমার সাথে উনি একবার মাত্র রাগ করেছিলেন। সেদিন আমার বাবা-জ্যাঠাদের লবনের ব্যবসায় লবন পরিবহনের জন্যে সদ্য ক্রয় করা জাহাজে মিলাদ পড়ানো